Monday, July 22, 2013

আমাদের চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ, দেশরত্ন শেখ হাসিনা নৌকা আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু "আমরা মুজিবসেনা"

No comments:

The Founder of Bangladesh

Sheikh Mujibur Rahman

Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman was born in 1920 and studied for a Bachelor of Arts degree at Calcutta University and a law degree at Dhaka University. One of the founders of the Awami League in 1949, he led his party to a dramatic victory in the election of 1970, a key event in the emergence of Bangladesh. He became the new nation’s prime minister in 1972 and held the position of the President of Bangladesh from January 1975. He was assassinated in Dhaka in August 1975 during a military coup d’etat.

The Unfinished Memoirs” by Bangabandhu

The Unfinished Memoirs” by Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman released in Bangladesh, India and Pakistan

The long awaited memoirs written by Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman has been released on 18 June 2012, in its original Bangla version “Oshomapto Atmojiboni” as well as in English translation titled "The Unfinished Memoirs". Sheikh Mujib penned this invaluable document during his time in jail through 1967-69.

The memoir has been translated into English by Professor Dr. Fakrul Alam of Dhaka University.

“The Unfinished Memoirs” has also been released simultaneousely in India and Pakistan by The Penguin Books India and Oxford University Press Pakistan. A Urdu translation of the memoirs is in its final stage to be published in Pakistan tentatively in July.

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড

সাড়ে ৪ বছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড সৃষ্টি করেছি, বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা
এ সরকার আমলেই কিছু যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শনিবার ২০ জুলাই ২০১৩, ০৫ শ্রাবণ ১৪২০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, বর্তমান সরকার সততা ও ওদেশপ্রেমের সাথে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উন্নয়নে কাজ করছে। তিনি বলেন, 'আমরা প্রমাণ করেছি, সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করলে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। তিনি বলেন, আগামীতে আবার ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেলে তাঁর সরকার দেশের সামগ্রিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করবে। প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের জন্য বেসরকারি কোম্পানীগুলো আমাদের আহবানে সাড়া দিযে এগিয়ে আসায় সবার বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে আমাদের অঙ্গিকার আজ বাস্তবে পরিণত হচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত জোট সরকার দেশে নতুন কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেনি। এছাড়া চলমান বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও তারা রক্ষণাবেক্ষণ করেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিগত সাড়ে চার বছরে ৫৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে এবং মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৫৩৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। তিনি আরো বলেন,সাড়ে ৪ বছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুত্ উত্পাদনে রেকর্ড সৃষ্টি করেছি। তিনি তার ভাষণে বলেন, বর্তমান সরকার আমলেই কিছু যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এদেশের মা-বোনদের হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল; তাদের বিচার শুরু হয়েছে। এ বিচার সম্পন্ন করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, এ সরকার আমলেই কিছু যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর হবে। বাকিদের রায় কার্যকর করতে জনগণকে সজাগ থাকতে হবে। এজন্য আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করে বলেছেন, খুব শিগগিরই ভারত থেকে প্রথম পর্যায়ে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এক হাজার ৩শ' ১ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী লিমিটেড (এপিএসসিএল) এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সির অর্থায়নে ৬১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের করুণ দশার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করার সময় প্রতিদিন বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমান ছিল ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ফের ক্ষমতায় আসে তখন দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬ হাজার ৯শ ৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে এবং ৩ হাজার ৯শ ৭৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ১৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন আছে। কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সরকারের উদ্যোগ এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনও উৎসাহিত করছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের গত সাড়ে চার বছরে ৩২ লাখ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। দেশের ৬২ শতাংশ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। সেচ পাম্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ ও গ্যাস ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনার একটু সাশ্রয় আরেকজনের বিদ্যুৎ-গ্যাস পাওয়ার পথকে সুগম করবে। বিগত সরকারের সাথে বর্তমান সরকারের সাফল্য তুলনা করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ২০০৫ সালে দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করতো। এখন তা ২৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, মাথাপিছু আয় ২০০৮ সালে ছিল ৬শ ৩০ ডলার। এখন তা বেড়ে ৯শ' ৫০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। তখন রিজার্ভ ৩ বিলিয়ন ডলারও ছিল না। আর এখন রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঊপরে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্ব অঙ্গনে সম্মানিত হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে নারীর ক্ষমতায়নে আওয়ামী লীগ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এটি দেশের কারও কারও পছন্দ না হলেও বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য রোল মডেল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনাদের সাহায্য ও সমর্থন পেলে ২০২১ সাল নাগাদ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে পারবো।'

বিরোধীদলীয় নেত্রী প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা যেখানে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছিলাম, সেখানে উনি তাঁর ছেলেকে দিয়ে গ্রেনেড হামলা করেছেন। সেই হামলায় আমরা আইভি রহমানসহ ২২ জনকে হারিয়েছি।' তিনি বলেন, 'বিরোধীদলীয় নেত্রী ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে দেশের টাকা পাচার করেছেন। আমরা তাঁর এক ছেলের পাচার করা টাকা দেশে ফেরত নিয়ে এসেছি। আরেক ছেলের পাচার করা টাকাও ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'

শেখ হাসিনা বলেন, 'যারা ইসলামের হেফাজত করে তাঁরা কীভাবে পবিত্র কোরআন শরিফে আগুন দিতে পারে! এই বিএনপিই হেফাজত ও জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে পবিত্র কোরআন শরিফে আগুন দিয়েছে।' তিনি বলেন, 'গত ৫ মে হেফাজতের মহাসমাবেশে তাঁরা ছোট ছোট শিশুদের শাপলা চত্বরে বসিয়ে রেখেছিলেন। আমরা এই শিশুদের আঘাত না করে শাপলা চত্বর থেকে সরিয়ে দিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি।'

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আশুগঞ্জ পাওয়ার ষ্টেশন কোম্পানীর চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উপদেষ্টা ডক্টর তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জালানী প্রতিমন্ত্রী মোঃ এনামুল হক, আইন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, মুক্তিযদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন(অবঃ) তাজুল ইসলাম, পানি সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য আ, ম,ওবায়দুল মোক্তাদীর চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১ আসনের সংসদ সদস্য সায়েদুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।

Monday, July 22, 2013

আমাদের চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ, দেশরত্ন শেখ হাসিনা নৌকা আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু "আমরা মুজিবসেনা"

No comments:

Post a Comment